ختم الله على قلوبهم وعلى سمعهم وعلى ابصارهم غشاوة الخـ

Friday, December 12, 2014

পড়ুন এবং ভাল লাগলে শেয়ার করুন “নারীর মল্যায়ন”

নারীর মূল্যায়ন
একটা গোষ্ঠী ইসলামের সকল সৌন্দর্যকে কুৎসিত করে দেখানোর উদ্দেশ্যে সর্বশক্তি দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের শ্লোগান হল, ইসলাম উত্তরাধিকার আইনে নারীকে ঠকিয়েছে। নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয় নি। তাদের এ জাতীয় সকল উক্তিই ভিত্তিহীন। কেননা ইসলাম নারীকে পুরুষের চেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেছে। তার প্রমাণ হলÑ
১.ইসলামে যাদের অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তারা ১২ শ্রেণী। তার মধ্যে মেয়ে, পৌত্রী, স্ত্রী, আপনবোন, সৎবোন, মা-শরীক বোন, মা, ও দাদী-নানী―এই ৮ শ্রেণীই হল নারী এবং তাদের অর্ধেক পিতা, দাদা, স্বামী ও মা-শরীক ভাই―এই ৪ শ্রেণী হল পুরুষ।
২. উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে অংশ প্রাপ্তির মাপকাঠী নির্ধারণ করে কোরআনে বলা হয়েছে, পুরুষ নারীর দ্বিগুণের অধিকারী। এ কথা বলা হয় নি যে, নারী পুরুষের অর্ধেকের অধিকারী। কোরআনের মত একমাত্র শ্রেষ্ঠ গ্রন্থে নারীকে মাপকাঠী নির্ধারণ করা নি:সন্দেহে তার জন্য মহাসম্মান ও মর্যাদার বিষয়। সম্পদ বেশি পাওয়া কখনোই মর্যাদার মাপকাঠী নয়। একজন রাষ্ট্রপতির চেয়ে একজন ব্যবসায়ীর আয় অনেক বেশি। অথচ দেশের সকল ব্যবসায়ী মিলেও একজন রাষ্ট্রপতির মান-মর্যাদায় উন্নিত হতে পারে না। আমরা দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না করে বরং বিজাতির অনুকরণ করে আমরাই তাদেরকে বঞ্চিত করে চলছি।
৩. ইসলামই নারী মূল্যায়নের একমাত্র প্রতীক। নিরপেক্ষ অমুসলিম মনীষীগণ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ জাতীয় ঘোষণা দিয়ে আসছেন। প্রসিদ্ধ গবেষক জেমস এ, মিসনার নিজ গ্রন্থ ওংষধস : ঞযব গরংঁহফবৎংঃড়ড়ফ জবষরমরড়হ ঢ়. ৬৮-৭০, এ বলেন, তিনি (মুহাম্মদ) সর্বপ্রথম সঠিক অর্থে নারী মুক্তির এবং নারী স্বাধীনতার ফলবান বৃক্ষ লাগান। এতে নারীজাতি মানুষের স্তরে গণ্য হওয়ার অধিকার পায়। ফলে তারা মর্যাদার সম্মানিত আসনে অধিষ্ঠিত হয়। সূত্র : পাশ্চাত্য মণীষীদের দৃষ্টিতে রাসূলে আকরাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম। পৃ: ১১২ মদীনা পাবলিকেশান্স, ঢাকা।
রবার্ট এল, গাল্লিক গঁযধসসধফ ঞযব ঊফঁপধঃড়ৎ. ঢ়.৫০, পুস্তকে বলেন, তের শতাব্দী অতিবাহিত হয়ে গেল। এর পূর্বে হযরত মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম নারী জাতিকে ভূসম্পদের মালিক হওয়ার অধিকার দিয়ে গেছেন। এটা সেই অধিকার যা ইউরোপে ১৮৭৫ ইং সনের পূর্বে দিতে সক্ষম হয় নি। সূত্র: প্রাগুক্ত। পৃ: ১৬২। হ্যামিলটন এ. আর. গিব ঝঃঁফরবং ড়হ ঃযব ঈরারষরধুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধস পুস্তকে বলেন, এ বিষয়টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে, হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর সংস্কার নারী জাতির মর্যাদাকে বিশেষভাবে উন্নত করেছে। সূত্র : প্রাগুক্ত। পৃ: ২২৯।
৪. ‘নারী’ শব্দের নামকরণে ‘সূরা নিসা’ নামে কোরআনে ১টা সূরা নাযিল হয়েছে। কোরআনে কোথাও সূরা রিজাল (পুরুষ) নাযিল হয় নি।
নারীদের বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে কোরআনে বিভিন্ন সূরার নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- সূরা মুজাদালা, সূরা তালাক, সূরা আত্ তাহরীম। পরুষদের বিষয় নিয়ে কোন সূরার নামকরণ করা হয় নি।
৫. বহু সূরায় স্বতন্ত্রভাবে নারীদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন- সূরা নিসা : ১১, ২, ৩, ১১-১৪, ১৯, ৩৩, ১৭৬। সূরা নাহল : ৫৮-৫৯। সূরা বাকারা : ১৮৭-১৮৮। সূরা আরাফ : ১৮৯। সূরা তাকভীর: ৮-৯। আহ্কাফ : ১৫। ৬. মা মরিয়মের নামে ১টা সূরা রয়েছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment