ختم الله على قلوبهم وعلى سمعهم وعلى ابصارهم غشاوة الخـ

Friday, December 19, 2014

আমরা নারীর অধিকারের কথা বলি।

দাদী হিসাবে নারীর মূল্যায়ন
দাদীকেও ইসলাম বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেছে। তাকে বিভিন্নভাবে আরো বেশি জিতিয়েছে।
১. দাদার জন্য যেমন ষষ্ঠাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। দাদীর জন্যও তেমনি ষষ্ঠাংশ নির্ধারণ করেছে। অথচ এই বয়সে তার সম্পদের তেমন প্রয়োজন হয় না। উপরন্ত বৃদ্ধা দাদী থেকে দোআ পাওয়ার জন্য সবাই তাকে দান-দক্ষিণা করতেই থাকে।
২. মোহরানার টাকা সহ পিতা, মাতা, ভাই, বোন ও সন্তানদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের প্রত্যকের থেকে প্রাপ্য অংশ তার কাছে সংরক্ষিত আছে।
৩. দাদা বেঁচে থাকলে তার দায়িত্বে দাদীর অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও হাত খরচের দায়িত্ব থাকে। অথচ দাদার এ জাতীয় কোন খরচ দাদীর উপর অর্পন করা হয় নি। আর দাদা মৃত্যু বরণ করে থাকলে স্ত্রী হিসাবে তার থেকে অংশ পায়।
৪. দাদীর অন্য পৌত্র-পৌত্রীদের মধ্যে এখনো যারা জীবিত আছে তাদের মধ্যে যারই মৃত্যু হবে দাদী তার থেকে ষষ্ঠাংশের অধিকারী হতে থাকবে। অথচ এই বয়সে সম্পদের প্রতি আকর্ষণ এবং এর প্রয়োজন তেমন থাকে না। তবুও ইসলাম তার জন্য এ ব্যবস্থা রেখে নারীর অধিকারকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। অন্য ধর্মের উত্তরাধিকারে দাদীর এ সম্মানজনক অবস্থান না থাকলে নারীবাদিদেরকে সেখানে ইসলামী উত্তরাধিকার আইন বাস্তবায়নের আন্দোলন করা উচিত।

আমার শায়েখ দা.বা. এর শাজারা


    হযরত মাওলানা শাহ আবুল কালাম ছাহেব (দামাত বারাকাতুহুম)-এর শাজারা
    * সাইয়েদুল-আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম)
    * সাইয়েদেনা আমীরুল-মু’মেনীন হযরত আলী ইবনে আবূ তালেব (কাররা মাল্লাহু ওয়াজহাহু)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা খাজা হাসান বসরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবদুল ওয়াহিদ বিন যায়েদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা ফুযায়েল বিন আয়ায (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা সুলতান ইব্রাহীম ইবনে আদহাম বলখী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা হুজাইফা মারাশি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবূ হুরায়রাহ বসরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা মামশাদ দিনওয়ারি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবূ ইসহাক শামী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবূ আহমাদ আব্দাল চিশতি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবূ মুহাম্মাদ মুহতারাম চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবূ ইয়ুসুফ চিশতি(রহমাতুল্লাহিআলাইহ)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা মউদুদ চিশতি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা হাজ্বী সাইয়েদ শারীফ যিন্দানি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা উসমান হারুনি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা মুঈনুদ্দিন হাসান সেঞ্জিরি খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা ফরীদুদ্দিন গাঞ্জে শাকের উজুধানি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আলা উদ্দিন আলী আহমাদ আস-সাবীর (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা শামসুদ্দিন তুরকি পানিপাতি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা জালালুদ্দিন কাবির আওলিয়া আল-পানিপথী(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আহমেদ আবদুল হক রাদাউলভি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আহমেদ আরিফ আর-রাদাউলভি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা মুহাম্মদ আরিফ আর-রাদাউলভি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা কুতুবুল আলম শায়েখ আবদুল কুদ্দুস গঙ্গুহী(রাহমাতুল্লাহিআলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা জালালুদ্দিন থানেসারি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা নিযামুদ্দিন আল-বলকি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবি সা’ইদ গাঙ্গহি(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা মুহিব্বুল্লাহ এলাহাবাদী(রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা শাহ মুহাম্মাদি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা শায়েখ মুহাম্মাদ মক্কী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা শাহ আযদুদ্দীন (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা শাহ আবদুল-হাদী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা আবদুল বারী আমরুহি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা শাহ্ আব্দুর রহীম শাহীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা নুরমুহাম্মদ ঝিনঝানাভি (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ সাইয়েদেনা হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * মুজাদ্দেদে-মিল্লত হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * শায়খুল মাশায়েখ মুহীউস্ সুন্নাহ হযরত শাহ আবরারুল হক ছাহেব ( রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * আরেফবিল্লাহ হযরত আকদাস হাকীম মুহাম্মদ আখতার ছাহেব (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)
    * হযরত মাওলানা শাহ আবদুল মতীন বিন হুসাইন ছাহেব (দামাত বারাকাতুহুম)
* হযরত মাওলানা শাহ আবুল কালাম সাহেব ( দামাত বারাকাতুহুম)

Wednesday, December 17, 2014

ফজলে খোদার পক্ষ থেকে দাওয়াত


আল-জামিআতুল ইসলামিয়া ফজলে খোদা

মালিকান্দা, মেঘুলা,দোহার,ঢাকা।

বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল 2015 ইং 

তারিখ: ৪ও ৫ জানুয়ারী

রোজ: রবি ও সোমবার 

ওয়াজ করবেন বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামগণ

আপনারা সকলে আমন্ত্রিত

Tuesday, December 16, 2014

আমরা নারীর অধিকারের কথা বলি।

ইসলামের দৃষ্টিতে পৌত্রী হিসাবে নারীর মূল্যায়ন :

মুফতী হাবীবুল্লাহ ত্রিশালী : কন্যা সন্তানের অংশদানে অবহেলা করা অন্যায়

মুফতী হাবীবুল্লাহ ত্রিশালী : কন্যা সন্তানের অংশদানে অবহেলা করা অন্যায়: কন্যা সন্তানের অংশদানে অবহেলা করা অন্যায় উত্তরাধিকার সম্পদের ব্যাপারে আমাদের সমাজে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী অবহেলার শিকার, তা হলো কন্যা স...

মুফতী হাবীবুল্লাহ ত্রিশালী : মেয়ে হিসাবে নারীর মূল্যায়ন

মুফতী হাবীবুল্লাহ ত্রিশালী : মেয়ে হিসাবে নারীর মূল্যায়ন: মেয়ে হিসাবে নারীর মূল্যায়ন ১.হাদীসে মেয়ে সন্তানকে অধিক আদর দিয়ে লালন-পালন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে জান্নাত লাভের উপায় বলা ...

মেয়ে হিসাবে নারীর মূল্যায়ন

মেয়ে হিসাবে নারীর মূল্যায়ন
১.হাদীসে মেয়ে সন্তানকে অধিক আদর দিয়ে লালন-পালন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে জান্নাত লাভের উপায় বলা হয়েছে। ছেলের ক্ষেত্রে এ মহাসুসংবাদ দেওয়া হয় নি। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম বলেন, যার মেয়ে জন্ম হয়েছে, সে তাকে জীবন্ত কবর দেয় নি, তাকে লাঞ্চিত করে নি এবং তার তুলনায় ছেলে সন্তানকে বেশি আদর করে নি। আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন (আবূ দাঊদ)। একাধিক মেয়ে লালনের দায়িত্ব পালনকারীকেও জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
২. অন্যরা বঞ্চিত হলেও মেয়ে কখনো বঞ্চিত হয় না।
৩. একই মাতা-পিতার ঔরসে জন্ম হওয়া ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোরআনে শুধু মেয়ের অংশই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোরআনে কোথাও ছেলের কোন অংশের উল্লেখ হয় নি। বরং তাকে আছাবা গণ্য করা হয়েছে।
৪. ছেলে থাকতে মেয়েকে বঞ্চিত না করে মেয়েকেও তার সাথে আছাবা গণ্য করা হয়েছে।
৫. ছেলে আছাবা হিসাবে সম্পদ পেলে তার পরিমাণ নির্ধারণে অর্থাৎ ছেলে মেয়ের দিগুণ পাওয়ার জন্য মেয়েকেই একমাত্র মাপকাঠী গণ্য করে মূল্যায়নের শীর্ষে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবক এবং কর্তিত্বের বাগডোর ছেলের হাতে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সম্পদও দিগুণ রাখা হয়েছে। ফলে ছেলের মানও খর্ব করা হয় নি।






Saturday, December 13, 2014

কন্যা সন্তানের অংশদানে অবহেলা করা অন্যায়

কন্যা সন্তানের অংশদানে অবহেলা করা অন্যায়
উত্তরাধিকার সম্পদের ব্যাপারে আমাদের সমাজে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশী অবহেলার শিকার, তা হলো কন্যা সন্তানের অংশদান। কোরআনুল কারীমে কন্যা সন্তানের অংশ দেওয়ার ব্যাপারে এতবেশী গুরাত্বারোপ করেছে যে,
১. একই মাতা-পিতার ঔরসে জন্ম হওয়া ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোরআনে শুধু মেয়ের অংশই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কোরআনে কোথাও ছেলের কোন অংশের উল্লেখ হয় নি।
২. এবং কন্যাদের অংশকে আসল ভিত্তি সাব্যস্ত করেছে এবং সে অনুপাতে পুত্রদের অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন, “একপুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমপরিমাণ”( সূরা নিছা আয়াত নং১১)। একথা বলা হয় নি দুই কন্যার অংশ এক পুত্রের অংশের সমপরিমাণ।কোরআনের মত একমাত্র শ্রেষ্ঠ গ্রন্থে নারীকে মাপকাঠী নির্ধারণ করা নি:সন্দেহে তার জন্য মহাসম্মান ও মর্যাদার বিষয়।
৩. হযরত আবু হুরাইরা (রাযি.) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-“ আমি তোমাদেরকে বিশেষভাবে দু’ধরনের অসহায়ের মাল থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে হুশিয়ার করছি। একজন নারী,অপরজন ইয়াতীম। (তাফসীরে ইবনে কাসীর২/২৪৮)
আর একথা স্পষ্ট যে, কোন ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করলে তার সম্পদের প্রত্যেক অংশে সকল ওয়ারিসদের হক সম্পৃক্ত হয়ে যায়।( অনেক ক্ষেত্রে ঘরের আছবাব পত্র মৃতের পরিত্যক্ত সম্পদের মধ্যে শামিল করা হয় না। তসবীহ,জায়নামাজ,জল চৌকি ইত্যাদি যার যার পছন্দমত একেকটা ভাগ করে নিয়ে নেয় অথচ এগুলোও উত্তরাধিকারে শামিল করা জরুরী) মৃত ব্যাক্তির অপ্রাপ্ত বয়স্ক যদি কোনো সন্তান থাকে,তাদের হকও পরিত্যক্ত সম্পত্তির সাথে সম্পৃক্ত থাকে। তাদেরকে অংশ না দেয়া দ্বিগুণ গোনাহ। এক শরীয়ত সম্মত ওয়ারিসদের অংশ আত্মসাৎ করার দ্বিতীয় গুনাহ ইয়াতীমের সম্পত্তি হজম করে ফেলার । কেউ কেউ আবার কন্যাদের অংশ না দেয়ার জন্য বিভিন্ন খোঁড়া যুক্তি পেশ করে থাকে যে,তাদের বিয়ের সময় তো গহনা ও যৌতুক বাবদ মোটা অংক ব্যয় করা হয়েছে। এ কারণে তারা এখন পৈত্রিক সম্পদ দাবী করতে পারে না। মূলত এ যুক্তিটি সহঅবস্থানকারী হিন্দুদের থেকে সংক্রমিত হয়েছে। জীবদ্দশায় পিতা সন্তানের জন্য যাই ব্যয় করে থাকে , তাই তাদের প্রাপ্য মনে করা হয়। ইসলামে এধরনের খোঁড়া যুক্তির কোন অবকাশ নেই।
অনেকে আবার এযুক্তি পেশ করে যে, মেয়েরা যেহেতু স্বামীর বাড়ীতে চলে যায় এবং তার খরচাদী স্বামীই বহন করে থাকে,তাই তার সম্পদের তেমন কোন প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে পিতার মৃত্যুর সময় ছেলে-মেয়ে উভয়ই বিবাহিত হলে ছেলেকে ক. নিজের পরিবার দেখতে হয়। খ. বোন অংশ নিয়ে নিলেও বোনকে ভাইয়ের আদর, পিত্রালয়ের আদর দিতে হয়। গ. ভগ্নিপতিকে শ্বশুর বাড়ির আদর দিতে হয়। ঘ. ভাগ্না-ভাগ্নিদেরকে মামা ও মামা বাড়ির আদর, নানার আদর দিতে হয়। ঙ. তাদের ও নিজেদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সক্রিয় সহযোগিতা করতে হয়। চ. বোনের স্বামী-পক্ষের আত্মীয়বর্গকে সর্বদা আদর-আপ্যায়নে মূল্যায়ন করতে হয়। আর এসবে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
শরীয়তের দৃষ্টিতে এসমস্ত যুক্তি অগ্রহণযোগ্য। বোনদের খোঁজ খবর নেয়া,তারা আসলে মেহমানদারী করা,তাদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা,এসব ভাই বেরাদারের নৈতিক দায়িত্ব। এর সাথে পৈত্রিক সম্পত্তির কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পদের স্বার্থে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা আত্মমর্যাদারও প্রশ্নও বটে। আত্মীয়তার সম্পর্ক সুরক্ষা তো তখন বুঝে আসবে,যখন সম্পদ নিয়ে যাওয়ার পরও তা বহাল থাকবে।
মোটকথা, কন্যা সন্তানের হিস্যা বিভিন্ন বাহানায় না দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কেউ ন্যায্য অধিকার চাইলে সমাজে তাকে ভৎসনা করা হয়। কোথাও তাদের হিস্যা দেয়া হলেও পূর্ণ দেয়া হয় না। কোথাও ভিটে বাড়ীর অংশ তাদেরকে দেয়া হয় না। অনেককে স্পষ্টও বলতে শোনা যায় যে, ভাই চাই না সম্পদ চাই । অর্থাৎ সম্পদ নিলে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক থাকবে না। তোমার দুঃখ-দুর্দশায় আমরা কোন সহযোগিতা করবো না। এমনিভাবে আমাদের সমাজে কন্যাদের সম্পদ আত্মসাৎ করা হয়। বলাবাহুল্য,এটাই ছিল জাহেলী যুগের প্রথা,ইসলাম যার মুলৎপাটন করেছে।
মুফতী হাবীবুল্লাহ

সালামের প্রয়োজনীয়তা

সালামের প্রয়োজনীয়তা
পৃথিবীতে মানুষ দুইভাবে জীবন-জাপন করে থাকে পারিবারিক ও সামাজিক। পরিবার ও সমাজ থেকে আলাদা হয়ে একাকী বসবাস করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি সদস্যেরই কামনা হল সুখ-শান্তিতে বসবাস করা,কারও থেকে নিপীড়ন ও রূঢ়তার আচরণের মখোমুখি না হওয়া। কিন্তু আফছোছের বিষয় হলো,এজাতীয় বিষয় আমাদের সমাজে হতেই চলছে। এসব অনাকাক্সিক্ষত বিষয় থেকে পরিত্রাণ লাভ সকলের আন্তরিক কামনা হলেও এসব থেকে মুক্ত হতে পারছে না। কারণ এসবের অন্তর্নিহিত উৎস সম্পর্কে অনেকেই অনবগত। অথচ ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন-বিধান হিসেবে মানুষের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সুখময় ও শান্তিপূর্ণ করার অপূর্ব দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে। যেগুলো পালন করে চললে সমাজে শান্তির শীতল বায়ু প্রবাহিত হবে। এখন প্রশ্ন হল-এই ভালবাসা একে অপরের মাঝে কিভাবে সৃষ্টি হবে? কুরআন-হাদীসে এব্যাপারে বিশেষভাবে একটি জিনিষের কথা বলা হয়েছে। আর তা হলো একে অপরকে বেশী বেশী সালাম দেওয়া। এব্যপারে ছহীহ মুসলিম শরীফে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেনঃ তোমরা জান্নাতে যেতে পারবে না, যদি তোমাদের ঈমান পূর্ণাঙ্গ না হয়। আর তোমাদের ঈমান পূর্ণাঙ্গ হবে না, যদি তোমাদের মধ্যে পরস্পরে ভালবাসা সৃষ্টি না হয়। অতপর রাসূল (সা.) এরশাদ করেন,আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব কিভাবে পরস্পরে ভালবাসা সৃষ্টি হয়? নিজেদের মধ্যে একে অপরকে খুব বেশী বেশী সালাম করতে থাক(ছহীহ মুসলিম ১/৫৩)। সালাম দ¦ারা কেন মহব্বত সৃষ্টি হয়? কারণ সালাম হল একটি বড় দ’ুআ। কেননা “আস্সালামু আলাইকুম” এর অর্থ হলো,“ আল্লাহ তোমাদেরকে শান্তি দিন” আর মানুষ দুনিয়ার সবকিছুই হয়ত দুনিয়ার শান্তির জন্য করে ,নতুবা আখেরাতের শান্তির জন্য করে । সালামের মধ্যে সেই দুআই করা হচ্ছে। তাই এর চেয়ে বড় দুআ আর কিছু হতে পারে না। যদি সালাম দাতা সালামের এই অর্থ বুঝে সালাম দেয় এবং সালাম গ্রহণকারী সালামের এই অর্থ বুঝে সালাম গ্রহণ করে , তাহলে উভয়েই বুঝবে যে, উনি আমার জন্য শান্তি চান। উনি আমার জন্য একজন বড় কল্যাণকামী। এই বুঝ থেকেই পরস্পরের মধ্যে মহব্বতের মনোভাব সৃষ্টি হবে। সালাম যেহেতু একটি সুন্দর দু‘আ,তাই সালামের বাক্য “ আস্সালামু আলাইকুম” সুন্দর ভাবে উচ্চারণ করা চাই,নতুবা অর্থের মধ্যে বিকৃতি ঘটে যেতে পারে।
সালামের জবাব দেয়ার নিয়ম ও তরীকা হলো, কেউ সালাম দিলে মুখেই তার জবাব দেয়া উচিত। ( মুখে কিছু না বলে শুধু মাথা কিংবা হাত দ্বারা ইশারা করা উচিত নয়।) সালাম দাতা যদি “ আস্সালা
মু আলাইকুম” বলে;তবে জবাব দাতা “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’বলবে। যদি এর সঙ্গে ‘ওয়া বারাকাতুল্লাহু’ও যোগ করে বলা হয়; তবে তা আরো উত্তম হবে। এভাবে সহীহ শুদ্ধ করে পারস্পরিক সালাম দিতে থাকলে এবং বেশী হারে সালামের বিস্তার ঘটাতে থাকলে ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ফিরে আসবে।
{"filesize_ok":true,"image_id":221089,"success":true}

Friday, December 12, 2014

পড়ুন এবং ভাল লাগলে শেয়ার করুন “নারীর মল্যায়ন”

নারীর মূল্যায়ন
একটা গোষ্ঠী ইসলামের সকল সৌন্দর্যকে কুৎসিত করে দেখানোর উদ্দেশ্যে সর্বশক্তি দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের শ্লোগান হল, ইসলাম উত্তরাধিকার আইনে নারীকে ঠকিয়েছে। নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয় নি। তাদের এ জাতীয় সকল উক্তিই ভিত্তিহীন। কেননা ইসলাম নারীকে পুরুষের চেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেছে। তার প্রমাণ হলÑ
১.ইসলামে যাদের অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তারা ১২ শ্রেণী। তার মধ্যে মেয়ে, পৌত্রী, স্ত্রী, আপনবোন, সৎবোন, মা-শরীক বোন, মা, ও দাদী-নানী―এই ৮ শ্রেণীই হল নারী এবং তাদের অর্ধেক পিতা, দাদা, স্বামী ও মা-শরীক ভাই―এই ৪ শ্রেণী হল পুরুষ।
২. উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে অংশ প্রাপ্তির মাপকাঠী নির্ধারণ করে কোরআনে বলা হয়েছে, পুরুষ নারীর দ্বিগুণের অধিকারী। এ কথা বলা হয় নি যে, নারী পুরুষের অর্ধেকের অধিকারী। কোরআনের মত একমাত্র শ্রেষ্ঠ গ্রন্থে নারীকে মাপকাঠী নির্ধারণ করা নি:সন্দেহে তার জন্য মহাসম্মান ও মর্যাদার বিষয়। সম্পদ বেশি পাওয়া কখনোই মর্যাদার মাপকাঠী নয়। একজন রাষ্ট্রপতির চেয়ে একজন ব্যবসায়ীর আয় অনেক বেশি। অথচ দেশের সকল ব্যবসায়ী মিলেও একজন রাষ্ট্রপতির মান-মর্যাদায় উন্নিত হতে পারে না। আমরা দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না করে বরং বিজাতির অনুকরণ করে আমরাই তাদেরকে বঞ্চিত করে চলছি।
৩. ইসলামই নারী মূল্যায়নের একমাত্র প্রতীক। নিরপেক্ষ অমুসলিম মনীষীগণ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ জাতীয় ঘোষণা দিয়ে আসছেন। প্রসিদ্ধ গবেষক জেমস এ, মিসনার নিজ গ্রন্থ ওংষধস : ঞযব গরংঁহফবৎংঃড়ড়ফ জবষরমরড়হ ঢ়. ৬৮-৭০, এ বলেন, তিনি (মুহাম্মদ) সর্বপ্রথম সঠিক অর্থে নারী মুক্তির এবং নারী স্বাধীনতার ফলবান বৃক্ষ লাগান। এতে নারীজাতি মানুষের স্তরে গণ্য হওয়ার অধিকার পায়। ফলে তারা মর্যাদার সম্মানিত আসনে অধিষ্ঠিত হয়। সূত্র : পাশ্চাত্য মণীষীদের দৃষ্টিতে রাসূলে আকরাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম। পৃ: ১১২ মদীনা পাবলিকেশান্স, ঢাকা।
রবার্ট এল, গাল্লিক গঁযধসসধফ ঞযব ঊফঁপধঃড়ৎ. ঢ়.৫০, পুস্তকে বলেন, তের শতাব্দী অতিবাহিত হয়ে গেল। এর পূর্বে হযরত মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম নারী জাতিকে ভূসম্পদের মালিক হওয়ার অধিকার দিয়ে গেছেন। এটা সেই অধিকার যা ইউরোপে ১৮৭৫ ইং সনের পূর্বে দিতে সক্ষম হয় নি। সূত্র: প্রাগুক্ত। পৃ: ১৬২। হ্যামিলটন এ. আর. গিব ঝঃঁফরবং ড়হ ঃযব ঈরারষরধুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধস পুস্তকে বলেন, এ বিষয়টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে, হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর সংস্কার নারী জাতির মর্যাদাকে বিশেষভাবে উন্নত করেছে। সূত্র : প্রাগুক্ত। পৃ: ২২৯।
৪. ‘নারী’ শব্দের নামকরণে ‘সূরা নিসা’ নামে কোরআনে ১টা সূরা নাযিল হয়েছে। কোরআনে কোথাও সূরা রিজাল (পুরুষ) নাযিল হয় নি।
নারীদের বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে কোরআনে বিভিন্ন সূরার নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- সূরা মুজাদালা, সূরা তালাক, সূরা আত্ তাহরীম। পরুষদের বিষয় নিয়ে কোন সূরার নামকরণ করা হয় নি।
৫. বহু সূরায় স্বতন্ত্রভাবে নারীদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন- সূরা নিসা : ১১, ২, ৩, ১১-১৪, ১৯, ৩৩, ১৭৬। সূরা নাহল : ৫৮-৫৯। সূরা বাকারা : ১৮৭-১৮৮। সূরা আরাফ : ১৮৯। সূরা তাকভীর: ৮-৯। আহ্কাফ : ১৫। ৬. মা মরিয়মের নামে ১টা সূরা রয়েছে।

কওমী মাদরাসা কি ও কেন?

কওমী মাদরাসা কি ও কেন
এই ধরায় যুগে যুগে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সে গুলোর মাঝে অন্যতম ও সর্বোত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ক্বওমী মাদরাসা যার নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন মহান আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে প্রেরিত মানবতার অগ্রদূত হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম।
দ্বীন ইসলাম শিক্ষার সূচনা, মক্কার ছাফা পাহাড় এর অদূরে দ্বীনি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র প্রথম মাদরাসা, মদীনার মসজিদে নববীতে আহলে সুফফা দ্বিতীয় মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয় তার হাতে। দ্বীনি জ্ঞানে পরিপূর্ণ প্রখ্যাত ছাহাবায়ে কেরাম ছিলেন এই মাদরাসারই ফসল। যার অমীয় সূধা পান করে তৃপ্ত হয়েছেন, ইবনে আব্বাছ (রা.) ইবনে মাসউদ (রা.) আবূ হুরাইরা (রা.)। সৃষ্টি হয়েছেন ইমাম মালেক রহ, ইমাম আবু হানীফা রহ,ইমাম শাফেয়ী রহ, ইমাম আহমদ রহ প্রমুখ আইম্মায়ে কেরাম। যে কারখানা থেকে তৈরি হয়েছেন ইবনে সিনা, ইমাম গাজালীর মত দার্শনিক ও আলেমে দ্বীন ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত । তারা এক দিকে যেমন তাঁদের সুমহান চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য সকলের নিকট ফুটিয়ে তোলে দ্বীন ইসলামের দিকে আহবানের মাধ্যমে ইহার প্রচার প্রসারের কাজ আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। অপর দিকে সর্ব প্রকার ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা এবং বাতিলের মুখোশ উম্মোচন করার জন্য সর্বদা তারা ছিলেন সজাগ-সচেতন ও নিবেদিত প্রাণ। ইসলামের পতাকা সমুন্নত রাখার জন্য তারা জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করে গিয়েছেন। দারুল উলূম দেওবন্দ ও কওমী মাদরাসা মূলত ঃ সে ধারারই উত্তরাধীকারী।
এই মাদরাসার পরিচয় দিতে গিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের সম্মানিত প্রাক্তন মুহতামিম হাকীমুল ইসলাম ক¦ারী তৈয়্যব সাহেব রহ. বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধর্মীয় দিক থেকে মুসলমান, আক্বীদা গত দিক থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, মাযহাবের দিক থেকে হানাফী, মাশরাবের দিক থেকে সূফী, দর্শনের দিক থেকে আশআরী ও মাতুরিদী, তরীকার দিক থেকে চিশতী ও নকশবন্দী, চিন্তা ধারার দিক থেকে ওয়ালী উল্লাহী, মূলনীতির দিক থেকে কাসেমী,ফুরুআতের দিক থেকে রশীদী, সামগ্রীক দিক থেকে মাহমুদী, নিসবতের দিক থেকে দেওবন্দী। বস্তুতঃ এটাই কওমী মাদরাসার পূর্ণাঙ্গ পরিচয়।
আর এটা কোন নতুন চিন্তা ধারা বা মতবাদের নাম নয়। বরং সাহাবায়ে কেরামেরই মত ও পথ অনুস্বরণ ও সে পথে চলার শিক্ষা প্রাণ কেন্দ্রের নামই কওমী মাদরাসা।
কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ক্বওমী মাদরাসা?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এর যুগ থেকে নিয়ে ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী,তাবে তাবেয়ীনের যুগ পর্যন্ত ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য ইয়াহুদী খৃষ্টানরা হাজার চক্রান্তের জাল পাতে।
দেখতে দেখতে তারা পরবর্তী যুগে তাদের হীন মিশনের কিছু সফলতা লাভ করে। ভাসকো দামাগার নেতৃত্বে তৎকালীন বিশে^র সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগরী বাংলা পাক ভারত উপমহাদেশের পথ আবিস্কার করে এ দেশের রাজন্যবর্গের খিয়ালীপনার সুযোগে ইয়াহুদী খৃষ্টানরা বিভিন্ন স্থানে কুটির স্থাপন করে এবং ছলে বলে কলে কৌশলে নারী ও বিশ^াসঘাতকতার যোগ সাজশে তারা এ উপমহাদেশের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের অধীনে নিতে থাকে।
শুধু তাই নয় একে একে উপমহাদেশের সমস্ত রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের দখলে নিয়ে যায় এবং নিজেদের মনগড়া পদ্ধতিতে দেশ চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে এদেশের মানুষের মাঝে বিরাজমান ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও সভ্যতায় মারাতœক ধ্বংস নেমে আসে।
তবে মুসলমানগণ তাঁদের বর্বর শাসন ক্ষমতা বেশি দিন মেনে নিতে পারেনি। তখন ওলামায়ে কেরাম নববী সুন্নাতের আলোকে ইসলামের সামাজিক, রাজনৈতিক সকল বিধি-বিধানকে বিশ্লেষণ করে ইসলামের রুপ রেখা ও তাগুতি শক্তিকে রুখবার জন্য এক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আজাদী আন্দোলনের ডাক দেন। তবে এ দেশীয় কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে সেই আন্দোলন ব্যর্থ হয়। আর নেমে আসে নেতৃত্বদানকারীদের উপর অকথ্য নির্যাতন ও নিপীড়নের স্ট্রিম রুলার। হাজারো মানুষ কালপানীর নি:সহ অত্যাচারে শিকার হন। চট্টগাম থেকে খায়বার পর্যন্ত গ্রান্ড ট্রাংক রুডের দু’পাশের একটি বৃক্ষ শাখাও এমন ছিলনা যাতে উলামায়ে কেরাম বা সাধারণ মুসলমানের লাশ ঝুলেনি। ফলে নেতৃত্বের জন্য সিপাহসালার ছিল অনেক অভাব। তখন উলামায়ে কেরাম এলমে দ্বীন, এলমী নববীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ও তা মানব সন্তানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং উপমহাদেশকে ইয়াহুদীদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি করার জন্য প্রত্যয়ী আতœত্যাগী সিপাহসালার তৈরির মহান লক্ষ্যে এক প্রতিষ্ঠান তৈরির অনুভব করেন। এ কঠিন মুহুর্তে রফিউদ্দীন রহ.এর স্বপ্ন যুগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামের নির্দেশিত স্থানে কাসেম নানুতবী রহ.এর নেতৃত্বে ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দের ৩০ শে মে মোতাবেক ১৫ ই মুর্হারম ১২৮৩ হিজরীতে ভারতের সাহরানপুর জেলার দেওবন্দ নামক এলাকায় ঐতিহাসিক ছাত্তা মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি ডালিম গাছের ছায়ায় প্রচলিত ধারার সর্ব প্রথম কওমী মাদরাসা দারুল উলূম দেওবন্দের গোড়া পত্তন করা হয়। সে চিন্তা ধারা নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের কওমী মাদরাসাগুলো। যা কেড়ে নিয়েছে মানুষের অন্তর, গেথে গেছে হৃদয়ের গহীনে, স্থান করে নিয়েছে মানুষের হৃদয় আসনে। মানুষের তাহজীব তামাদ্দুনে তার অবদান অবর্ণনীয়।

Wednesday, December 10, 2014

আল-জামিআতুল ইসলামিয়া ফজলে খোদা - র পক্ষ থেকে আবেদন ।

বিশেষ আবেদন
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের প্রাচীন ও বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিআতুল ইসলামিয়া ফজলে খোদা ( মেঘুলা মাদরাসা) বিগত প্রায় অর্ধশতাব্দী যাবত ইসলামের নিরলস খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছে। হাজার হাজার এতিম (অসহায়) গরীব ছাত্র এ প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বীনি ইলম অর্জন করে দেশ-বিদেশে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমান ছাত্র সংখ্যা ৮০০ জন এবং সুদক্ষ ৪৪ জন মুদারিরস ও মুলাযিম দ্বারা আবাসিক-অনবাসিক ,নূরানী বিভাগ, হেফজ বিভাগ,কিতাব বিভাগ দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত ও ফতোয়া বিভাগ সুচারু রুপে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ফতোয়া বিভাগ চলার পর সামনে উলূমুল কোরআন ও তাফসীর বিভাগসহ অন্যান্য তাখাচ্ছুছ বিভাগ খোলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কওমী মাদরাসার শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল আরাবিয়্যা এর একটি পরীক্ষা কেন্দ্র।চার শতাধীক এতিম,গরীব ছা্ত্রের ফ্রি-থাকা-খাওয়া এবং ৪৪ জন মুদারিরছ ও মুলাযিমের বেতন-ভাতাসহ মাদরাসার বার্ষিক ব্যায় প্রায় এক কোটি টাকা।আপনাদের সাহায্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের এ ব্যয় সংকুলান হয়ে থাকে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্রদেরকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যপক কর্মসূচি চলমান রয়েছে।অতএব অত্র জামিআতে আপনার এককালীন দান,যাকাত,ছদকা,ফিতরা,মান্নত,কাফ্ফারা,কোরবানীর পশুর চামড়া,খাদ্য ও নির্মাণ সামগ্রী দান করে দ্বীনি শিক্ষার ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য আপনার ও দ্বীনদার,দানশীল ব্যক্তির নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
                          আরজ গুজার
              আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবুল কালাম সাহেব দা.বা.
                       মুহতামিম অত্র জামিআ
                       মোবাইল: 01714.211310

Tuesday, December 9, 2014