ختم الله على قلوبهم وعلى سمعهم وعلى ابصارهم غشاوة الخـ

Saturday, December 13, 2014

সালামের প্রয়োজনীয়তা

সালামের প্রয়োজনীয়তা
পৃথিবীতে মানুষ দুইভাবে জীবন-জাপন করে থাকে পারিবারিক ও সামাজিক। পরিবার ও সমাজ থেকে আলাদা হয়ে একাকী বসবাস করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে পরিবার ও সমাজের প্রতিটি সদস্যেরই কামনা হল সুখ-শান্তিতে বসবাস করা,কারও থেকে নিপীড়ন ও রূঢ়তার আচরণের মখোমুখি না হওয়া। কিন্তু আফছোছের বিষয় হলো,এজাতীয় বিষয় আমাদের সমাজে হতেই চলছে। এসব অনাকাক্সিক্ষত বিষয় থেকে পরিত্রাণ লাভ সকলের আন্তরিক কামনা হলেও এসব থেকে মুক্ত হতে পারছে না। কারণ এসবের অন্তর্নিহিত উৎস সম্পর্কে অনেকেই অনবগত। অথচ ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন-বিধান হিসেবে মানুষের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সুখময় ও শান্তিপূর্ণ করার অপূর্ব দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে। যেগুলো পালন করে চললে সমাজে শান্তির শীতল বায়ু প্রবাহিত হবে। এখন প্রশ্ন হল-এই ভালবাসা একে অপরের মাঝে কিভাবে সৃষ্টি হবে? কুরআন-হাদীসে এব্যাপারে বিশেষভাবে একটি জিনিষের কথা বলা হয়েছে। আর তা হলো একে অপরকে বেশী বেশী সালাম দেওয়া। এব্যপারে ছহীহ মুসলিম শরীফে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেনঃ তোমরা জান্নাতে যেতে পারবে না, যদি তোমাদের ঈমান পূর্ণাঙ্গ না হয়। আর তোমাদের ঈমান পূর্ণাঙ্গ হবে না, যদি তোমাদের মধ্যে পরস্পরে ভালবাসা সৃষ্টি না হয়। অতপর রাসূল (সা.) এরশাদ করেন,আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব কিভাবে পরস্পরে ভালবাসা সৃষ্টি হয়? নিজেদের মধ্যে একে অপরকে খুব বেশী বেশী সালাম করতে থাক(ছহীহ মুসলিম ১/৫৩)। সালাম দ¦ারা কেন মহব্বত সৃষ্টি হয়? কারণ সালাম হল একটি বড় দ’ুআ। কেননা “আস্সালামু আলাইকুম” এর অর্থ হলো,“ আল্লাহ তোমাদেরকে শান্তি দিন” আর মানুষ দুনিয়ার সবকিছুই হয়ত দুনিয়ার শান্তির জন্য করে ,নতুবা আখেরাতের শান্তির জন্য করে । সালামের মধ্যে সেই দুআই করা হচ্ছে। তাই এর চেয়ে বড় দুআ আর কিছু হতে পারে না। যদি সালাম দাতা সালামের এই অর্থ বুঝে সালাম দেয় এবং সালাম গ্রহণকারী সালামের এই অর্থ বুঝে সালাম গ্রহণ করে , তাহলে উভয়েই বুঝবে যে, উনি আমার জন্য শান্তি চান। উনি আমার জন্য একজন বড় কল্যাণকামী। এই বুঝ থেকেই পরস্পরের মধ্যে মহব্বতের মনোভাব সৃষ্টি হবে। সালাম যেহেতু একটি সুন্দর দু‘আ,তাই সালামের বাক্য “ আস্সালামু আলাইকুম” সুন্দর ভাবে উচ্চারণ করা চাই,নতুবা অর্থের মধ্যে বিকৃতি ঘটে যেতে পারে।
সালামের জবাব দেয়ার নিয়ম ও তরীকা হলো, কেউ সালাম দিলে মুখেই তার জবাব দেয়া উচিত। ( মুখে কিছু না বলে শুধু মাথা কিংবা হাত দ্বারা ইশারা করা উচিত নয়।) সালাম দাতা যদি “ আস্সালা
মু আলাইকুম” বলে;তবে জবাব দাতা “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’বলবে। যদি এর সঙ্গে ‘ওয়া বারাকাতুল্লাহু’ও যোগ করে বলা হয়; তবে তা আরো উত্তম হবে। এভাবে সহীহ শুদ্ধ করে পারস্পরিক সালাম দিতে থাকলে এবং বেশী হারে সালামের বিস্তার ঘটাতে থাকলে ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ফিরে আসবে।
{"filesize_ok":true,"image_id":221089,"success":true}

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment